সুদীপ নাথ আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছে

এই ব্লগে আপনাকে স্বাগত ...... আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য এই ব্লগকে আরও সমৃদ্ধ করবে ...... তার জন্যে সনির্বন্ধ অনুরুধ রইল

Saturday, 4 July 2015

মানব সমাজে ধর্মের উদ্ভব




প্রাচীন মানুষ ঝড় বন্যা বা কঠিন অসুখ-বিসুখে খুবই বিচলিত হয়ে পড়ত তখন মানুষের গড় আয়ু ছিল আঠার বছর। অকাল মৃত্যুর কারণ খুঁজে খুঁজে হয়রাণ হতে হত তাদের। অসুখ-বিসুখ সম্পর্কে তাদের তখনো কোন ধারণা গড়ে উঠা দূরে থাক, তাদের জীব জগৎ সম্পর্কেও কোন স্পষ্ট ধারণা তখন গড়ে উঠেনি। তখনকার মানুষের জীবন যাত্রা তো আর এখনকার মত ছিলনা। তখন তারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ত। ঝড় বন্যা বৃষ্টি বজ্রপাত আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যুৎপাত আর অন্য সব প্রাকৃতিক দুর্বিপাকের কারণ তারা বুঝতো না। বলা হচ্ছে ‘হোমো স্যাপিয়েনস’ মানুষদের কথা, যারা আমাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন।

নিজেদের চারদিকে ঘিরে থাকা প্রকৃতিকে ‘হোমো স্যাপিয়েনস’ মানুষ ঠিক সেই রকমই ভয় পেতো, যেমন ভয় পেতো তারও বহু পূর্বে পৃথিবীর আদিম মানুষেরা। এমন মানুষ আজও আছে পৃথিবীতে কোথাও কোথাও আছে, যারা এখনো অনুসরণ করে প্রাচীন মানুষের জীবন যাত্রার ধরণআদিম মানুষের সাথে ‘হোমো স্যাপিয়েনস’ মানুষের তফাৎ হল, হোমো স্যাপিয়েনসরা প্রকৃতির ক্ষমতা জানতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক রহস্যের কার্য-কারণ সম্পর্ক তারা বুঝতো না বলে, প্রাকৃতিক ঘটনাকে তারা ব্যাখ্যা করতো, তাদের তখনকার অর্জিত ধারণা অনুসারেই, নিজেদের মত করে, নিজেদের জ্ঞান, বুদ্ধি আর বিবেচনা অনুসারে।
 
তারা তাদের তৎকালীন পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে, নানা রকমের যুক্তি খাড়া করতে শুরু করেছিল এক সময়েতারা ঐ সময়ে ধরে নিয়েছিল, ওই সব ঘটনা ঘটছে, তাদের অজ্ঞাত কোন গুপ্ত অলৌকিক শক্তির ফলে। তখন তারা চেষ্টা করতে লাগল, কিভাবে এই সমস্ত গুপ্ত অলৌকিক শক্তিকে স্বীকার করে নিয়ে তা নিজেদের উপকারে কাজে লাগানো যায়।

এই ধরণের ধারণার অনুসারি হয়েই, শিকারে যাওয়ার আগে, তারা পশুর ছবি মাটিতে আঁকত এবং সেই ছবিকে হত্যা করেই শিকারে যেততারা মনে করত যে, এভাবে কাঙ্খিত শিকারকে সহজেই কাবু করতে পারবে। দলবদ্ধ হয়ে এই কাজ করতে করতে, ধীরে ধীরে তা প্রথা হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। যে কোন সমাজে, কোন প্রথা সৃষ্টির পেছনে প্রতিটি জনসমষ্টির মধ্যে অবস্থানকারী সকলের সম্মিলিত প্রায়াস কার্যকরী থাকে। আর সুদূর অতীতে, বেঁচে থাকার এবং জীবনযাত্রা আরো উন্নত করার সামাজিক তাগিদ তথা প্রয়োজনীয়তা থেকেই, নানা রকমের প্রথার উদ্ভব হয়েছে। খাদ্য আহরণের যৌথ প্রয়াস মানুষকে এসব করতে বাধ্য করেছে। আর সেই প্রচেষ্ঠারই ফলশ্রুতি হচ্ছে স্ব স্ব জনগোষ্ঠির নিজস্ব প্রথাএমনও দেখা গেছে, এক একটা পরিবারে তাদের নিজস্ব প্রথা প্রচলিত ছিলো। এসবের চিহ্ন এখনো বিশ্বময়, এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এমন যৌথ শিকার ব্যবস্থা প্রতিটি জনগোষ্ঠিতেই, কোন না কোন সময়ে বিদ্যমান ছিল। কিন্তু বিভিন্ন প্রাকৃতিক তথা ভৌগোলিক তারতম্যের কারণে, বিভিন্ন সময়ে এসবের আলাদা আলাদা অর্থাৎ স্বকীয় পরিবর্তন ঘটেছে। এই পর্যায়ে তারা মনে করত যাদু করে তাদের প্রয়োজনীয় পশুর উপর সম্মোহন প্রভাব বিস্তার করলেই পশুকে পরাস্ত করতে পারবে। 

আমাদের মত তারাও ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখত। স্বপ্ন দেখত হয়ত এমন সব লোকজনকে, যারা তাদের থেকে দূরে কোথাও রয়েছে। অথবা এমন কাউকে দেখত, যে মারা গেছে। ঘুম এবং স্বপ্নের কারণ না জানা থাকায়, তারা যুক্তি খাঁড়া করে কল্পনা করেছিল যে, দেহের ভিতরে থাকে আত্মা। ঘুমের সময় সেই আত্মা বেড়িয়ে গিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সেই আত্মাগুলো অন্যদের আত্মার সাথে যোগাযোগ করে, দেখা সাক্ষাৎ হয় ইত্যাদিআর ভাবত, কেউ মারা গেলে, তার আত্মা তার দেহ ছেড়ে বেড়িয়ে যায় এবং ঘুরে বেড়ায়।

Tuesday, 30 June 2015

যান দুর্ঘটনা এড়ানোর পদ্ধতি -- পর্ব-৬



সতর্কতার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি ?

মনে রাখবেন অপ্রত্যাশিত কারণে খুব কম সংখ্যক দুর্ঘটনাই ঘটে। প্রায় সমস্ত দুর্ঘটনাই ঘটে কতগুলি সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে। এই সমস্ত দুর্ঘটনা গুলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, দুর্ঘটনা গুলো এড়ানো যেতো। আর তার থেকেই আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, প্রায় সমস্ত দুর্ঘটনাই এড়ানো যায়।

অনেকে মনে করেন যে, ট্র্যাফিক রুল মেনে চললেই সব সময় বিপদমুক্ত থাকা যায়। এটা সঠিক নয় এই কারণে যে, এটা আশা করা উচিত নয় যে, গাড়ি চালকেরা ট্র্যাফিক রুল ভাঙ্গবে না। আপনার সতর্কতা, আপনারই জীবন বাঁচানোর স্বার্থে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, ট্র্যাফিক পয়েন্টে দুর্ঘটনা হয়না বললেই চলে।

রাস্তার অন্য একটি বিশেষ বিপদজনক পরিস্থিতি হচ্ছে নির্জন রাস্তা। এখানে একটি বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক কারণ কার্যকরী থাকে। এখানে মন থেকে সতর্কতা মুছে গিয়ে, কল্পিত নিরাপদ অনুভুতির সৃষ্টি হয়। নির্জন রাস্তা লোকে পার হয় কোণাকুণি ভাবে এবং কোন দিকে না তাকিয়ে। অনেক সময় দুজনে কথা বলতে বলতে হাঁটে রাস্তার মাঝ বরাবর। আর বাচ্চারা খেলতে খেলতে রাস্তার মাঝখানে চলে আসে। আর গাড়িগুলো কত গতিতে চলে আর কিসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটায় তা সবারই জানা।

যান দুর্ঘটনা এড়ানোর পদ্ধতি -- পর্ব ৫



যান দুর্ঘটনা এড়াতে চালকের করণীয়


আমরা যত ভাল চালকই হই না কেন, মনে রাখতে হয়, বিপরীত দিক থেকে যেসব গাড়ি আসছে, সেই চালকের উপর, আমাদের কোন নিয়ন্ত্রন নেই

আমরা যদি চাকুরিরত চালক হ তাহলে, মাদের গাড়ির মালিক যতই চাপাচাপি করুক না কেন, আমরা কোন পরিস্থিতিতেই গাড়িতে ত্রুটি থাকলে, তা সারাই না করে গাড়ি চালাব না।

আমরা যেন কোন পরিস্থিতিতেই ভাগ্যের দোহাই দিয়ে গাড়ি না চালাই

কোন পরিস্থিতিতেই, যেমন হয়তোবা সামনের বিপদজনক যায়গাটা কোনরকম পেরিয়ে যাবভেবে, নিজের ও আরোহীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলব না।

মারাত্মক দুর্ঘটনা চালক জীবনে একবারই ঘটায়। কিন্তু এখনও যারা মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটায়নি, সেইসমস্ত সব চালকরাই ভাবে, “কোনদিন তো দুর্ঘটনা ঘটল না, আমি তো ওস্তাদ, আমার কিছুই হবেনাএই ভাবনা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখব

Monday, 29 June 2015

যান দুর্ঘটনা এড়ানোর পদ্ধতি -- পর্ব ৪



মরা যখন যানবাহন চড়ি

মূল কথা= মাথা বাঁচাতে পারলে প্রায় সব মৃত্যুই ঠেকানো যায়  

আমাদের শিশুর জীবনের  নিরাপত্তার স্বার্থে, নিজেদের বা সঙ্গী-সাথীদের, স্বার্থে আমরা দুচাকা, তিনচাকা, চার চাকা, যে যানবাহনেরই আরোহী হই না কেন, মাদের করনীয় অনেক কিছুই থাকে কারণ, ২০০৫ সালে ভারতে, এক লক্ষ দশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পঁচিশ লক্ষ মানুষ হাসপাতালে গেছে এবং বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০১৫ সালে দুই লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে ও পঁয়ত্রিশ লক্ষ মানুষ হাসপাতালে যাবে।

Saturday, 27 June 2015

যান দুর্ঘটনা এড়ানোর পদ্ধতি - -পর্ব ৩




সতর্কতা কেন চাই 


মনে রাখবেন অপ্রত্যাশিত কারণে খুব কম সংখ্যক দুর্ঘটনাই ঘটে। প্রায় সমস্ত দুর্ঘটনাই ঘটে কতগুলি সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেএই সমস্ত দুর্ঘটনা গুলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, দুর্ঘটনা গুলো এড়ানো যেতো। আর তার থেকেই আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, প্রায় সমস্ত দুর্ঘটনাই এড়ানো যায়।

Wednesday, 24 June 2015

যান দুর্ঘটনা এড়ানোর পদ্ধতি -২



যান দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পথচারীর করণীয়  

মূল কথা= শহরের ব্যস্ত রাস্তায় দুর্ঘটনা হয়না, হলেও মাঝরাতে বা ভোরে 

রাস্তা আড়াআড়ি ভাবে পার হওয়া উচিত

রাস্তা কখনো কোণাকুণি ভাবে পার হতে নেই 

মনে রাখতে হবে, নির্জন রাস্তাই সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক

একসাথে একাধিক পথচারী পাশাপাশি হাঁটা বিপদের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে
 

Sunday, 31 May 2015

নিকোটিন ত্যাগ করার ও করানোর কৌশল



এই নিবন্ধটির অবতারণা তাদেরই জন্যে যাদের ইচ্ছে হয় ধূমপান ছেড়ে দেয়ার, অথচ ছাড়তে পারছেন না এবং তাদেরও জন্যে যারা আত্মীয়পরিজনকে ধূমপান থেকে বিরত করতে চান। মনে রাখতে হবে খৈনী, জর্দা, নস্যি, দোক্তা ইত্যাদির নেশাও নিকোটিনের জন্যেই হয়। ফর্মুলা একই। তাই আলাদা করে নাম উল্লেখ করছি না।

যারা নিজে ধূমপান করেন না, তাদের সবারই সেই একই কথা – “ধূমপান মারাত্মক ক্ষতিকর, এটা ছেড়ে দিলেই তো সব সমস্যা মিটে যায়কথাটা বলা খুবই সহজ। কিন্তু যারা ধূমপানে আসক্ত, যারা ইচ্ছে থাকলেও তা ছাড়তে পারছেন না, তারাই জানেন এই ছেড়ে দেয়াটা কতটুকু কঠিন। শুধু তাই নয়, তারা দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করেন, এই জীবনে তাদের ধূমপান ত্যাগ করা হয়ত সম্ভব নয়। নতুবা এক কথায় সবাই ধূমপান ছেড়ে দিত।

Tuesday, 5 May 2015

যান দুর্ঘটনা এড়ানোর পদ্ধতি -১


সন্তানের যান দুর্ঘটনা এড়াতে পিতা-মাতার কর্তব্য


যখন ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বেরোয়, তখন এমন কোনও মা-বাবা নেই , যিনি বলে দেন না যে,  

সাবধানে রাস্তায় চলবি। কিন্তু কি কি সাবধানতা তাদের নিতে হবে, কখনো 

কিন্তু শিখিয়ে দেন না কেউ। আমাদের  ছেলেমেয়েরা নিজের বুদ্ধিতেই পথ   

চলতে শুরু করে, আর উদ্বেগে ঘরে ছটফট করি আমরা, মা-বাবারা।

 

আমাদের সন্তান নিজে থেকেই রাস্তায় চলার অভ্যাস ও নিয়ম রপ্ত করে নেবে,  

এমনটা আমাদের আশা করা অনুচিত। যথা সম্ভব অল্প বয়স থেকেই তাকে 

রাস্তার দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা উচিত। আমাদের সন্তানের স্কুলে 

পার্কে খেলার মাঠে আত্মীয় বন্ধুদের বাড়িতে বা দোকানে যাওয়ার পথে, যে 

সমস্ত বাধা বিপত্তি রয়েছে, তা আগে থেকেই বিশ্লেষণ করে বোঝাতে হবে। 


এখানে কেবল কথা বললে, ব্যাখ্যা করলে ও তথ্য জোগালেই কোন কাজ হবেনা। এমন কি সবচেয়ে বোধগম্য তথ্য আর বিপদ আলোচনাও প্রয়োজনীয় ফল দেয়না। 

দুর্ঘটনা এড়ানো তখনই একমাত্র সম্ভব, যখন পর্যবেক্ষণ ও চলাফেরার অভ্যাস স্বয়ংক্রিয়তা অর্জন করে। আর তা সম্ভব হয় একমাত্র নিরবিচ্ছিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমেই। এইরূপ অনুশীলন বহুবার পুনরাবৃত্তি করা আবশ্যিক  

Wednesday, 15 April 2015

আত্মদর্শন




তি অল্প বয়েসেই পিতৃহারা ব্রজলাল নাথশহরে মাঝে মধ্যে আসেন। থাকেন শহর সংলগ্ন এক গ্রামে। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব সুন্দর ভাবেই পালন করেছেন। দেখতে দেখতে ষাটে এসে পৌছেছেন। বাবার মৃত্যুর পর পর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা ক্লাশ নাইনের পর আর এগোয়নি।

কিন্তু সমাজের সব স্তরেই ওনার পরিচিতি আছে। এক ডাকে সবাই চেনে। একবার ওনাদের এক সন্মেলনে আমি সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। তিনি ডায়াসে বসেছিলেন।  সুদর্শন তো বটেই, কথাবার্তাও খুবই মার্জিত এবং যখন ভাষণ রাখলেন, তখন বোঝা গেল তিনি এখনও বিভিন্ন বইপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করেন।
 
মধ্যাহ্ন ভোজের সময় ব্রজলাল বাবুর পাশে খেতে বসার সুবাদে, পরিচয় মুহূর্তে অন্তরঙ্গতায় চলে যায়। আমার অন্য এক পাশে আর একজন সাংবাদিক বন্ধুও ছিল। কোন একটা কথা প্রসঙ্গে আমার সাংবাদিক বন্ধুটি মন্তব্য করেছিল- 'হিন্দু ধর্মের সৃষ্টির আগে ভারতে সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল'। আমার বন্ধুর কথার উত্তরে আমি বলেছিলাম- ‘না, তোমার কথাটা ঠিক নয়। তবে এক সময় হিন্দু ধর্মের প্রাধান্য খর্ব করে বৌদ্ধ ধর্ম খুবই প্রাধান্য অর্জন করেছিল বটে, কিন্তু পরবর্তিতে হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান হয়েছিল”

Wednesday, 8 April 2015

গণ-হিষ্টিরিয়া




ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের গোকুল নগরে কদিন আগে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নামে। চারদিকে রটে গিয়েছিল পঞ্চ সাপ বলে কি একটা নাকি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। শুরু হয় যায় পুজো-আর্চা। কাপড় বিছানো হয় প্রণামী রক্ষা করতে। অনেকে চান করে নূতন জামা-কাপড় পড়ে, বড় বড় করে সিঁদুরের ফোঁটায় কপাল রাঙিয়ে, ভাবে গদগদ হয়ে লুটিয়ে পরেন সেই তথাকথিত পঞ্চ সাপের সামনে। বিজ্ঞান কর্মিরাও ছুটে আসে।

আসলে তা ছিল এক রকমের উদ্ভিদ। এইগুলোকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে মৃতজীবী উদ্ভিদ। এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করার আগে উদ্ভিদের খাদ্য সংগ্রহের দিকটি একটু দেখে নিতেই হয়।
এক ধরণের পদ্ধতিতে সবুজ উদ্ভিদ ক্লোরোফিলের সহায়তায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও পত্ররন্ধ্র দ্বারা গৃহিত কার্বন ডাই অক্সাইডের রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করে, গ্লুকোজ সংশ্লেষ করে। পরে তা শ্বেতসার বা প্রোটিন বা ফ্যাট খাদ্যে পরিণত হয়ে উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, পাতা, ফল ও বীজের মধ্যে সঞ্চিত থাকে। এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদ না না অজৈব উপাদান থেকে নিজ দেহে উপযোগী জৈব যৌগের সৃষ্টি করেএই পদ্ধতিকে বলে স্বভোজী পুষ্টি পদ্ধতি