সন্তানের যান দুর্ঘটনা এড়াতে পিতা-মাতার কর্তব্য
যখন ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বেরোয়, তখন এমন কোনও মা-বাবা নেই , যিনি বলে দেন না যে,
সাবধানে রাস্তায় চলবি। কিন্তু কি কি সাবধানতা তাদের নিতে হবে, কখনো
কিন্তু শিখিয়ে দেন না কেউ। আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজের বুদ্ধিতেই পথ
চলতে শুরু করে, আর উদ্বেগে ঘরে ছটফট করি আমরা, মা-বাবারা।
আমাদের সন্তান নিজে থেকেই রাস্তায় চলার অভ্যাস ও নিয়ম রপ্ত করে নেবে,
এমনটা আমাদের আশা করা অনুচিত। যথা সম্ভব অল্প বয়স থেকেই তাকে
রাস্তার দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা উচিত। আমাদের সন্তানের স্কুলে
পার্কে খেলার মাঠে আত্মীয় বন্ধুদের বাড়িতে বা দোকানে যাওয়ার পথে, যে
সমস্ত বাধা বিপত্তি রয়েছে, তা আগে থেকেই বিশ্লেষণ করে বোঝাতে হবে।
এখানে কেবল কথা বললে, ব্যাখ্যা করলে ও তথ্য
জোগালেই কোন কাজ হবেনা। এমন কি সবচেয়ে বোধগম্য তথ্য আর বিপদ আলোচনাও প্রয়োজনীয় ফল
দেয়না।
দুর্ঘটনা এড়ানো তখনই
একমাত্র সম্ভব, যখন পর্যবেক্ষণ ও চলাফেরার অভ্যাস স্বয়ংক্রিয়তা অর্জন করে। আর তা সম্ভব হয়
একমাত্র নিরবিচ্ছিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমেই। এইরূপ অনুশীলন বহুবার পুনরাবৃত্তি করা
আবশ্যিক।
লুকনো বিপদ অনুমান
করার অক্ষমতাঃ-
আমরা অনেক সময় রাস্তার মাঝখানে চলে যাই, সামনের দৃশ্য আড়াল
করে থাকা গাড়ি বা অন্য কিছুর পেছন থেকে। অদৃশ্য জায়গাটাকে বলা হয় ব্ল্যাক পয়েন্ট।
এই কারনেই প্রায় এক তৃতীয়াংশ দুর্ঘটনা
ঘটে।
এই যে সামনের দৃশ্য আড়াল করে থাকা,কোন কিছুর পেছন থেকে
হঠাৎ চলে যাওয়া,সেই অভ্যাসটি কিন্তু গড়ে উঠে সবার অলক্ষে, একেবারে ছোটবেলা থেকেই।
ছোটবেলায় আমরা বাড়িতে, দরজার পেছন থেকে, আলমারি আসবাব পত্রের পেছন থেকে, নিশ্চিন্ত মনে ছুটে বের হই। তখন এমন কিছুই ঘটেনা। এই ভাবেই আমাদের মনে গড়ে উঠে বাজে একটি নেতিবাচক অভ্যাস। এই অভ্যাস দিনে দিনে শর্তাধীন পরাবর্তের
সহায়তায়, বদভ্যাসে পরিনত হয়। এই
নেতিবাচক তথা বদ অভ্যাসটি নিয়েই আমাদের ছেলেমেয়েরা পথচারী হিসেবে চলতে শুরু করে
গ্রাম-শহরের নির্জন ও ব্যস্ত রাস্তায় আর হাইওয়েতে। রাস্তায় যে গারিটা এগিয়ে আসছে, সেটা তত বিপদজনক নয়, যতটা বিপদজনক সেই থেমে থাকা গাড়িটা, যা এগিয়ে আসা
গাড়ীটাকে আড়াল করে রাখে। শুধুমাত্র থেমেথাকা গারিই নয়, চলন্ত গাড়িও ব্ল্যাক
পয়েন্ট সৃষ্টি করে বিপদ ঘটায়।
অনুরূপ পরিস্থিতিকে
একটা নির্দিষ্ট মনস্তাত্ত্বিক ফ্যাক্টরের দ্বারা সূত্রায়িত করা যায়। তা হচ্ছে, “ পথচারী লুকানো বিপদটি আগে থেকে আঁচ পড়তে পারেনি”।
উল্লেখযোগ্য যে, অনেকেই মনে করেন, শিশুরা গাড়ী চাপা পড়ে
এই জন্য যে, রাস্তায় তারা অমনোযোগী, অবাধ্য ও নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতি উদাসীন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি তা নয়।
আসল কারণ হচ্ছে, তারা তালিম পায়নি, তাদেরকে সতর্কতা গুলো শেখানো হয়নি।
আর, আগে থেকেই আনুমান করার ক্ষমতা অর্জনের মধ্যেই আছে টিপিক্যাল পরিস্থিতিতে
দুর্ঘটনা এড়ানোর চাবিকাঠি।
সুন্দর লেখা। অতীব গুরুত্বপৃর্ণ মৌলিক বিষয়ের ওপর লেখা।
ReplyDeleteআমরা অনেক সময় রাস্তার মাঝখানে চলে যাই, সামনের দৃশ্য আড়াল করে থাকা গাড়ি বা অন্য কিছুর পেছন থেকে। অদৃশ্য জায়গাটাকে বলা হয় ব্ল্যাক পয়েন্ট। এই কারনেই প্রায় এক তৃতীয়াংশ দুর্ঘটনা ঘটে।
ReplyDeleteএই যে সামনের দৃশ্য আড়াল করে থাকা,কোন কিছুর পেছন থেকে হঠাৎ চলে যাওয়া,সেই অভ্যাসটি কিন্তু গড়ে উঠে সবার অলক্ষে, একেবারে ছোটবেলা থেকেই।
ছোটবেলায় আমরা বাড়িতে, দরজার পেছন থেকে, আলমারি আসবাব পত্রের পেছন থেকে, নিশ্চিন্ত মনে ছুটে বের হই। তখন এমন কিছুই ঘটেনা। এই ভাবেই আমাদের মনে গড়ে উঠে বাজে একটি নেতিবাচক অভ্যাস। এই অভ্যাস দিনে দিনে শর্তাধীন পরাবর্তের সহায়তায়, বদভ্যাসে পরিনত হয়। এই নেতিবাচক তথা বদ অভ্যাসটি নিয়েই আমাদের ছেলেমেয়েরা পথচারী হিসেবে চলতে শুরু করে গ্রাম-শহরের নির্জন ও ব্যস্ত রাস্তায় আর হাইওয়েতে। রাস্তায় যে গারিটা এগিয়ে আসছে, সেটা তত বিপদজনক নয়, যতটা বিপদজনক সেই থেমে থাকা গাড়িটা, যা এগিয়ে আসা গাড়ীটাকে আড়াল করে রাখে। শুধুমাত্র থেমেথাকা গারিই নয়, চলন্ত গাড়িও ব্ল্যাক পয়েন্ট সৃষ্টি করে বিপদ ঘটায়।
অনুরূপ পরিস্থিতিকে একটা নির্দিষ্ট মনস্তাত্ত্বিক ফ্যাক্টরের দ্বারা সূত্রায়িত করা যায়। তা হচ্ছে, “ পথচারী লুকানো বিপদটি আগে থেকে আঁচ পড়তে পারেনি”।
উল্লেখযোগ্য যে, অনেকেই মনে করেন, শিশুরা গাড়ী চাপা পড়ে এই জন্য যে, রাস্তায় তারা অমনোযোগী, অবাধ্য ও নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতি উদাসীন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি তা নয়। আসল কারণ হচ্ছে, তারা তালিম পায়নি, তাদেরকে সতর্কতা গুলো শেখানো হয়নি।
আর, আগে থেকেই আনুমান করার ক্ষমতা অর্জনের মধ্যেই আছে টিপিক্যাল পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়ানোর চাবিকাঠি।
ধন্যবাদ সবাইকে
ReplyDelete