সুদীপ নাথ আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছে

এই ব্লগে আপনাকে স্বাগত ...... আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য এই ব্লগকে আরও সমৃদ্ধ করবে ...... তার জন্যে সনির্বন্ধ অনুরুধ রইল

Wednesday, 4 May 2016

পরিবার প্রথার বিবর্তন



প্রজাতি সংরক্ষণের জন্যে প্রাথমিক সামজিক সংগঠন হচ্ছে পরিবার। সমাজ গঠনের প্রাথমিক পর্যায়েই পরিবার প্রথার সৃষ্টি। তখন থেকেই নরনারীর সম্পর্ক নিয়ে গড়ে উঠে পরিবার। সুদূর অতীতে পরিবার গড়ে উঠেছিল রক্তের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। এখন আমরা ভাবতেও লজ্জা বোধ করি যে, আমাদের পুর্ব পুরুষেরা যখন পরিবার প্রথা চালু করেছিল; তার আগে নরনারীর যৌন সম্পর্ক ছিল নির্বিচার। তা অবিশ্যি বন্যাবস্থার নিম্নতম স্তর হিসেবেই চিহ্নিত। এই পর্ব সম্ভবত সাত হাজার বছর ধরে চলেছিল। এর কোনও প্রমাণ কিন্তু আমাদের হাতে নেই। তবে পশু থেকে মানুষে উত্তরণের প্রক্রিয়াতে এমন একটি স্তর ছিলনা, এমনটা মেনে নেয়া যায় না। 

এদিকে, আত্মীয়তা বিধিগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সমস্ত আত্মীয়তা সম্পর্কের পেছনেই রয়েছে কোন না কোন একজোড়া নারী ও পুরুষের যৌন সম্পর্ক। কথাটা শুনতে খটমট লাগলেও, একটু মাথা ঠান্ডা করে ভেবে দেখুন বিষয়টা। মা বাবার যৌন সম্পর্কের কারণেই ভাই-বোন সম্পর্কের উৎপত্তি হয়। এক জোড়া নারীপুরুষের বিয়ে হওয়ার সাথে সাথেই শ্বশুর ও শাশুড়ি নামে আত্মীয়তার প্রশ্ন উঠে। মামা, মাসির সাথে আমাদের সম্পর্কটাও মা বাবার বৈবাহিক সম্পর্কেরই জের। 

এদিকে, আত্মীয়তা বিধিগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সমস্ত আত্মীয়তা সম্পর্কের পেছনেই রয়েছে কোন না কোন একজোড়া নারী ও পুরুষের যৌন সম্পর্ক। কথাটা শুনতে খটমট লাগলেও, একটু মাথা ঠান্ডা করে ভেবে দেখুন বিষয়টা। মা বাবার যৌন সম্পর্কের কারণেই ভাই-বোন সম্পর্কের উৎপত্তি হয়। এক জোড়া নারীপুরুষের বিয়ে হওয়ার সাথে সাথেই শ্বশুর ও শাশুড়ি নামে আত্মীয়তার প্রশ্ন উঠে। মামা, মাসির সাথে আমাদের সম্পর্কটাও মা বাবার বৈবাহিক সম্পর্কেরই জের। 

Saturday, 6 February 2016

ফ্রয়েড ও লিবিডো তত্ত্বের ইতিকথা



অনেকেই বলেন, আমাদের মন নাকি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। উনবিংশ শতাব্দি অব্দি অনেকেই মনে করতেন, মন বলতে যা কিছু বোঝায়, তার সব কিছুই জন্মসূত্রে পাওয়া বিষয়। তখন তারা ধারণা করতেন, মনের কোন বিচার বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। তখনকার ধারণাগুলো সবই ছিল অনুমান নির্ভর। যুগে যুগে বহু মনিষী, মনের অস্তিত্ব ও তার কার্যকলাপ নিয়ে অক্লান্ত গবেষণা করেছেন। কিন্তু শারীর বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে, মানব মনের হদিশ করতে তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। মানব শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপের সাথে মানব মনের সম্পর্ক খুঁজে পেতে হয়রান হয়েছেন। বিশেষত প্রাণীর ঘিলু তথা মস্তিষ্কের জটিল ক্রিয়াকলাপ, তখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের করায়ত্ত না থাকার ফলে, শরীর ও মস্তিষ্ক ভিত্তিক মনোবিদ্যা তখনো গড়ে উঠতে পারেনি। তখনও মনোবিদ্যা আলাদা কোন বিষয় হিসেবে গণ্য হত না। দর্শন শাশ্ত্রেরই একটা উপশাখা হিসেবে গণ্য হত। সেই কারণে মনোবিদ্যার বিশেষ কোন গুরুত্ব ছিলনা। দর্শন শাশ্ত্রের গণ্ডির মধ্যেই আবদ্ধ থাকার কারণে, মানুষের মন নিয়ে সকলেই, যার যার নিজের মত করে, যা খুশি বলার রাস্তা খোলা ছিলো।