সুদীপ নাথ আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছে

এই ব্লগে আপনাকে স্বাগত ...... আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য এই ব্লগকে আরও সমৃদ্ধ করবে ...... তার জন্যে সনির্বন্ধ অনুরুধ রইল

Wednesday, 15 April 2015

আত্মদর্শন




তি অল্প বয়েসেই পিতৃহারা ব্রজলাল নাথশহরে মাঝে মধ্যে আসেন। থাকেন শহর সংলগ্ন এক গ্রামে। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব সুন্দর ভাবেই পালন করেছেন। দেখতে দেখতে ষাটে এসে পৌছেছেন। বাবার মৃত্যুর পর পর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা ক্লাশ নাইনের পর আর এগোয়নি।

কিন্তু সমাজের সব স্তরেই ওনার পরিচিতি আছে। এক ডাকে সবাই চেনে। একবার ওনাদের এক সন্মেলনে আমি সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। তিনি ডায়াসে বসেছিলেন।  সুদর্শন তো বটেই, কথাবার্তাও খুবই মার্জিত এবং যখন ভাষণ রাখলেন, তখন বোঝা গেল তিনি এখনও বিভিন্ন বইপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করেন।
 
মধ্যাহ্ন ভোজের সময় ব্রজলাল বাবুর পাশে খেতে বসার সুবাদে, পরিচয় মুহূর্তে অন্তরঙ্গতায় চলে যায়। আমার অন্য এক পাশে আর একজন সাংবাদিক বন্ধুও ছিল। কোন একটা কথা প্রসঙ্গে আমার সাংবাদিক বন্ধুটি মন্তব্য করেছিল- 'হিন্দু ধর্মের সৃষ্টির আগে ভারতে সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল'। আমার বন্ধুর কথার উত্তরে আমি বলেছিলাম- ‘না, তোমার কথাটা ঠিক নয়। তবে এক সময় হিন্দু ধর্মের প্রাধান্য খর্ব করে বৌদ্ধ ধর্ম খুবই প্রাধান্য অর্জন করেছিল বটে, কিন্তু পরবর্তিতে হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান হয়েছিল”

Wednesday, 8 April 2015

গণ-হিষ্টিরিয়া




ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের গোকুল নগরে কদিন আগে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নামে। চারদিকে রটে গিয়েছিল পঞ্চ সাপ বলে কি একটা নাকি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। শুরু হয় যায় পুজো-আর্চা। কাপড় বিছানো হয় প্রণামী রক্ষা করতে। অনেকে চান করে নূতন জামা-কাপড় পড়ে, বড় বড় করে সিঁদুরের ফোঁটায় কপাল রাঙিয়ে, ভাবে গদগদ হয়ে লুটিয়ে পরেন সেই তথাকথিত পঞ্চ সাপের সামনে। বিজ্ঞান কর্মিরাও ছুটে আসে।

আসলে তা ছিল এক রকমের উদ্ভিদ। এইগুলোকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে মৃতজীবী উদ্ভিদ। এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করার আগে উদ্ভিদের খাদ্য সংগ্রহের দিকটি একটু দেখে নিতেই হয়।
এক ধরণের পদ্ধতিতে সবুজ উদ্ভিদ ক্লোরোফিলের সহায়তায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও পত্ররন্ধ্র দ্বারা গৃহিত কার্বন ডাই অক্সাইডের রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করে, গ্লুকোজ সংশ্লেষ করে। পরে তা শ্বেতসার বা প্রোটিন বা ফ্যাট খাদ্যে পরিণত হয়ে উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, পাতা, ফল ও বীজের মধ্যে সঞ্চিত থাকে। এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদ না না অজৈব উপাদান থেকে নিজ দেহে উপযোগী জৈব যৌগের সৃষ্টি করেএই পদ্ধতিকে বলে স্বভোজী পুষ্টি পদ্ধতি