অতি অল্প বয়েসেই পিতৃহারা ব্রজলাল
নাথ। শহরে মাঝে মধ্যে
আসেন। থাকেন শহর সংলগ্ন এক গ্রামে। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব সুন্দর
ভাবেই পালন করেছেন। দেখতে দেখতে ষাটে এসে পৌছেছেন। বাবার মৃত্যুর পর পর
প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা ক্লাশ নাইনের পর আর এগোয়নি।
কিন্তু সমাজের সব স্তরেই ওনার
পরিচিতি আছে। এক ডাকে সবাই চেনে। একবার ওনাদের
এক সন্মেলনে
আমি সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। তিনি ডায়াসেই বসেছিলেন। সুদর্শন তো বটেই,
কথাবার্তাও খুবই মার্জিত এবং যখন ভাষণ রাখলেন, তখন বোঝা গেল তিনি এখনও বিভিন্ন বইপত্র নিয়ে
নাড়াচাড়া করেন।
মধ্যাহ্ন
ভোজের সময় ব্রজলাল বাবুর পাশে খেতে বসার সুবাদে, পরিচয় মুহূর্তে অন্তরঙ্গতায় চলে যায়। আমার
অন্য এক পাশে আর একজন সাংবাদিক বন্ধুও ছিল। কোন একটা কথা প্রসঙ্গে আমার সাংবাদিক
বন্ধুটি মন্তব্য করেছিল- 'হিন্দু ধর্মের সৃষ্টির আগে ভারতে সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী
ছিল'। আমার বন্ধুর কথার উত্তরে আমি বলেছিলাম- ‘না, তোমার কথাটা ঠিক নয়।
তবে এক সময় হিন্দু ধর্মের প্রাধান্য খর্ব করে বৌদ্ধ ধর্ম খুবই প্রাধান্য অর্জন
করেছিল বটে, কিন্তু পরবর্তিতে হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান হয়েছিল”।